সেজে উঠছে বরিস জনসনের অফিস, পুরোনো সহকর্মীদের উপর ভরসা করে নিয়োগ ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর
ডিজিটাল ডেস্ক: নিজের কর্তৃত্ব এবং ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের চেষ্টা শুরু করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। সেই কারণেই তিনি নিজের অফিস ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিট ঢেলে সাজাতে শুরু করেছেন। তাঁর মূল উদ্দেশ্য হল নিজেকে আরও একবার প্রমাণ করা। সেই কারণেই ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী নতুন করে ভরসা রাখছেন তাঁরই পুরোনো সহকর্মীদের উপর। তিনি গুটো হ্যারিকে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের যোগাযোগ বিষয়ক কাজকর্মের প্রধান এবং স্টিভ বার্কলকে প্রধানমন্ত্রীর চিফ অব স্টাফ হিসেবে নিয়োগ করেছেন।
ব্রিটিশ প্রধাননন্ত্রী একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের প্রাক্তন সাংবাদিক গুটো হ্যারিকে নিয়োগ করেছেন। লন্ডনের মেয়র হিসেবে কাজ করার পাশাপাশি, গুটো হ্যারি তাঁর একজন ঘনিষ্ট সহযোগী ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। তিনি জনসনের প্রধান উপদেষ্টাও ছিলেন। বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরেই তিনি জনসনের তীব্র সমালোচনা করেছিলেন। সমালোচনা বন্ধ করতেই বরিশ জনসন তাঁকে নিয়োগ করেছেন বলেও মনে করা হচ্ছে। অপরদিকে, স্টিভ বার্কলের নিয়োগ গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। কারণ, স্টিভ বার্কলে লকডাউন বিরোধী হিসেবেই জনসমক্ষে পরিচিত।
বরিস জনসন সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তিনি মনে করেন দেশের মানুষ যা চায়, তা হল সরকার দেশের মানুষের কথা ভেবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করুক। ওয়েস্ট মিনিস্টারের বাইরেও নজর দেওয়া হোক। দেশের চাহিদার দিকে মনোনিবেশ করা হোক। সেই কারণেই, তিনি লকডাউন নিয়ে নতুন পদক্ষেপ করেছেন। পরিস্থিতি নিয়নন্ত্রণে রাখতেই পদক্ষেপ করেছেন করা হয়েছে। এরমধ্যে একটি অবশ্যই এই বিশেষ নিয়োগ। গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর ৫ জন সহযোগী ইতিমধ্যেই পদত্যাগ করেছিলেন। সমস্ত পরিস্থিতি সামাল দিতেই জনসন নজরকাড়া ২ জনকে নিয়োগ করেছেন বলে মনে করেছে রাজনৈতিক মহল।