জলপাইগুড়ি: চাকরি নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে গোটা রাজ্যজুড়ে। ঠিক সেই সময়ে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধেই উঠল টাকা নিয়ে চাকরি না দেওয়ার অভিযোগ। অভিযুক্ত শিক্ষক সন্তোষ বর্মন কোচবিহার জেলার শিতললুচির বাসিন্দা। তবে, তিনি শিক্ষকতা করেন জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জের আমবাড়ি চিন্তামোহন হাইস্কুলে।
চাকরি সূত্রে, কয়েকবছর থেকে শিলিগুড়ি শহরের কাছে আশিঘর এলাকায় পরিবার নিয়ে থাকতেন তিনি। আপার প্রাইমারিতে চাকরি দেওয়ার নাম করে কয়েক লক্ষ টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। টাকা ফেরত না পেয়ে পুলিশের দারস্ত হন এক চাকরিপ্রার্থী। তদন্তে নেমে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে।
অভিযোগকারীর বাপ্পা মালাকার কোচবিহার জেলার মাথাভাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা। তিনি অভিযোগ করেছেন, ওই স্কুল শিক্ষক কয়েকজন শিক্ষিত বেকারকে আপার প্রাইমারিতে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে ১৭ লক্ষ টাকা করে নিয়েছেন। এরপর কোনো চাকরি পাননি তারা। টাকা ফেরত চাইলে কোন টাকা দেবেন বলে সাফ জানিয়ে দেন ওই শিক্ষক।
তিনি আরও জানান, আপার প্রাইমারিতে চাকরি দেওয়ার কথা বলে তিন বছর আগে ১৭ লক্ষ টাকা নিয়েছেন। তিনি ছাড়াও আরও কয়েকজনের কাছ থেকে এভাবেই টাকা নিয়েছেন। কিন্তু, চাকরির ব্যবস্থা করেননি। গত ১৩ ডিসেম্বর শিক্ষকের শিলিগুড়ির বাড়িতে টাকা ফেরত চাইতে গেলে তিনি টাকা ফেরত দেবেন না বলে হুমকিও দেন।
তাই, একপ্রকার বাধ্য হয়ে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে শেষ পর্যন্ত আমবাড়ি ফাঁড়িতে লিখিত অভিযোগ করেন চাকরীপ্রার্থী বাপ্পা মালাকার। পুলিশ অভিযুক্ত শিক্ষক সন্তোষ বর্মনকে গ্রেফতার করেছে। ধৃত শিক্ষককে মঙ্গলবার জলপাইগুড়ি আদালতে পাঠানো হয়েছে।