Mamata Banerjee News | যত রাগ বাংলার ওপর’, কেন বললেন একথা

শিলিগুড়ি: সরকারি চাকরি নিয়ে শিলিগুড়ি (Siliguri) থেকে বিজেপিকে তোপ দাগলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee News)। তিন দিনের উত্তরবঙ্গ সফরে শিলিগুড়িতে পৌঁছান মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই সরকারি অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘সরকারি চাকরি তো হচ্ছেই। আর যে-ই হচ্ছে তখনই বিজেপি কোর্টে গিয়ে মামলা ঠুকে দিচ্ছে, যেন নিজেরা সাধু পুরুষ। উত্তরাখণ্ড, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশেও বহু কেলেঙ্কারি হয়েছে। যত রাগ শুধু বাংলার ওপর। কেউ চাকরি পেলেই সঙ্গে সঙ্গে কোর্টে চলে যাচ্ছে।’

সভা থেকেই বিচারব্যবস্থার দিকেও আঙুল তুলেছেন মমতা। তিনি বলেন, ’সব কোর্ট যে খারাপ তা বলব না। কিন্তু আমাদের সকলের মধ্যে কেউ-এ, কেউ-বি, কেউ-সি, কেউ-ডি হতেই পারে। পলিটিক্যালি ড্রাফট করে কাউকে কাউকে আবার বলে দেওয়া হচ্ছে, চাকরিটা বন্ধ করে দাও। কিন্তু আমি আইন মেনে আইনের পথে চাকরি দেব এবং দিচ্ছিও।’

পাশাপাশি, শিলিগুড়ির কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামের সভা থেকে ডিএ নিয়ে প্রথমবারের জন্য মুখ খুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee News)৷ তিনি সভা থেকে স্পষ্ট বলেন, ‘‘সরকারি কর্মচারিদের কোথাও কোনও বেতন বন্ধ হয়েছে? টাকা নেই, পয়সা নেই, তাও সঠিক সময়ে বেতন দেওয়া হয়৷ আমরা বছর বছর ডিএ পৌঁছে দি সরকারি কর্মীদের কাছে৷ ডিএ দিতে অতিরিক্ত ১ লক্ষ ৬১ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে আমাদের৷ মনে রাখবেন, কেউ আমাদের শত্রু নন৷ সরকারি কর্মচারি, শিক্ষকরা আমাদের বন্ধু৷’’

মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘আর অন্য সব রাজ্যে তো পেনশন বন্ধ করে দিয়েছে৷ আমরা একমাত্র পেনশন দিয়ে থাকি৷ কোথাও, কোনও পেনশন বন্ধ হয়নি৷’’ ডিএ নিয়ে সরকারি কর্মীদের একাংশের ক্ষোভের অন্ত নেই৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, কোচবিহার বিমানবন্দর করে দিয়েছে আমরা।’ কোচবিহার-কলকাতা বিমান পরিষেবা নিয়ে কেন্দ্রকে নিশানাও করেন ক্ষোভ প্রকাশ করেন মমতা। তিনি বলেন, ‘সিঙ্গল ইঞ্জিনে ঝুঁকি আছে। মানুষ বিপদে পড়লে, ছেড়ে কথা বলব না।’ একইসঙ্গে ডবল ইঞ্জিনের ফ্লাইটের দাবিও তোলেন তিনি।

মুখ্যমন্ত্রীর কথা, ‘কোচবিহার থেকে বিমানে মাত্র ন’জন করে যাতায়াত করতে পারবেন। এতে কী লাভ আছে। যাতে বড় ফ্লাইট যাতায়াত করতে পারে সেজন্য কোচবিহার বিমানবন্দর আরও বড় করছি। মালদায় আমরা বিমানবন্দর করে দিয়েছি। তা আরও বড় করছি। বালুরঘাট, পুরুলিয়ার ছররাতেও বিমানবন্দর করছি। বাগডোগরা বিমানবন্দরকে আরও বড় করার জন্য আমরা ১০৮ একরের মতো জমি দিয়েছি। অন্ডালে গ্রিন এয়ারপোর্ট তৈরি করেছি। রাজ্যে ২৭টি হেলিপ্যাড হয়েছে।’

প্রত্যাশামতো এদিনই বিমান নামে কোচবিহার বিমানবন্দরে। এদিন দুপুর ১টা ৪৫ মিনিট নাগাদ কলকাতা বিমানবন্দর থেকে কোচবিহারে (Kolkata To Cooch Behar Flight) নামে ৯ আসনের ছোট বিমান। এই বিমানে বিজেপির পাঁচ বিধায়ক সুকুমার রায়, মালতি রাভা, মিহির গোস্বামী, সুশীল বর্মন ও নিখিল রঞ্জন দে কোচবিহারে এসে নামেন। এই বিমানেই আসার কথা ছিল কোচবিহার পুরসভার তৃণমূল চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ সহ তৃণমূলের চারজনেরও। কিন্তু শেষ মুহূর্তে তাঁরা জানিয়ে দেন যে, তাঁরা বিমানযাত্রায় বিজেপি বিধায়কদের সঙ্গী হবেন না। ফলে বিমানের চারটি আসন ফাঁকাই ছিল।

অন্যধরনের খবর জানতে ভিজিট করুনঃ RELEASE 365

প্রতি মুহূর্তের খবরের আপডেট থাকছে আমাদের Facebook পেজ।

Exit mobile version