রিলিজ ৩৬৫ ওয়েবডেস্ক: রাত পৌনে ১২টা পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের ১টি আসনে এখনও গণনা চলছে। ইলেকশন কমিশন ইন্ডিয়ার তথ্য অনুযায়ী রাজ্যের ৪২টি আসনে ২৯টিতেই জয়ী হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী। কংগ্রেস ১টি আসন পেয়েছে। পাশাপাশি, ভারতীয় জনতা পার্টি ১১টি আসনে জয়ী হয়েছে।
১টি আসনে এগিয়ে রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মঙ্গলবার লোকসভা নির্বাচনের ভোট গণনা ছিল। এই নির্বাচনে কার্যত শেষ হাসি হাসল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলই। সবচেয়ে রেকর্ড ভোটে ডায়মন্ড হারবার আসন থেকে জয়ী হয়েছেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়।
এতেই জোড়াফুল শিবিরে আনন্দের আবহ তৈরি হয়েছে। লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের এই সাফল্য বিরোধীদের ইন্ডিয়া জোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে দিয়েছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। ভারতীয় জনতা পার্টি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিকে নিয়ে ইন্ডিয়া জোট গঠনের ক্ষেত্রে অন্যতম উদ্যোক্তা ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ইন্ডিয়া জোটের নামকরণও তাঁরই করা। বিরোধীদের আঞ্চলিক দলগুলির মধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল তৃণমূল কংগ্রেস অন্যতম সেরা ফল করে দেখিয়েছে। এখনও পর্যন্ত যা হিসেব ইন্ডিয়া জোটের মধ্যে তৃতীয় সর্ববৃহৎ আসন-শক্তি তৃণমূলেরই। প্রথম অবশ্যই কংগ্রেস। এরপর উত্তর প্রদেশে অখিলেশদের সমাজবাদী পার্টি। তারপরই সবথেকে বেশি আসন জোড়াফুলের দখলে রয়েছে।
আঞ্চলিক দলের নেতাদের মধ্যে নির্বাচনের আগে অরবিন্দ কেজরিওয়ালকেও নিয়েও যথেষ্ট চর্চা হয়েছে। দিল্লি ও পাঞ্জাব দুই জায়গায় আম আদমি পার্টি (আপ) সরকারে রয়েছে। কিন্তু, কেজরিওয়ালের গ্রেপ্তারির পর ভোট মোটেই টানতে পারেনি আপ। দিল্লিতে আপ বিজেপির কাছে ধুয়েমুছে গিয়েছে এক প্রকার। আর পঞ্জাবে ১৩টি আসনের মধ্যে মাত্র তিনটি আসন জিতেছে আপ।
লোকসভা ভোটে কেজরিওয়ালের দল একপ্রকার মুখ থুবড়ে পড়েছে। অপরদিকে, পশ্চিমবঙ্গের ফলাফলে তৃণমূলের ধারে কাছে ঘেঁষতে পারেনি বিজেপি। গোটা দেশে বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক লড়াইয়ে ক্ষেত্রে এই লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল তৃণমূল কংগ্রেস তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জাতীয় রাজনীতিতে বাড়তি ইন্ধন জোগাবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।