কলকাতা: বাংলাদেশের সাংসদ আনোয়ারুল আজিমের মৃতদেহের দেহাংশ খোঁজা শুরু হল। খুনের ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে সিআইডি। সাংসদের দেহাংশের খোঁজে বাগজোলা খালে তল্লাশি করা হচ্ছে। এবার তল্লাশিতে ভারতীয় নৌসেনার সাহায্য নিয়েছে সিআইডি।
গত ১৩ মে কলকাতা লাগোয়া নিউ টাউনের সঞ্জীব গার্ডেনের একটি ফ্ল্যাটে খুন হন বাংলাদেশের ঝিনাইদহ ৪ আসনের সাংসদ আনোয়ারউল আজিম। তাঁর ছোটবেলার বন্ধু আখতারুজ্জামানের বিরুদ্ধে এই খুনের অভিযোগ ওঠে। মৃতদেহ টুকরো টুকরো করে কলকাতার বিভিন্ন জলাশয়ে ফেলে দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে।
এদিকে অভিযুক্তরা ঘটনার পরই কলকাতা ছেড়ে পালিয়ে যায়। এখনও পর্যন্ত ৫ জন গ্রেপ্তার হয়েছে। তার মধ্যে ভাঙড় থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে জিহাদ হাওলাদার নামে এক কসাইকে। বাংলাদেশের খুলনার বাসিন্দা ওই যুবক অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছিল বলে জানা যায়। ৫০০০ টাকার বিনিময়ে আনোয়ারের দেহ সে টুকরো টুকরো করেছিল।
সম্প্রতি সঞ্জীব গার্ডেনের একটি সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে দেহের মাংস ও চুল উদ্ধার হয়। তদন্তকারী অফিসারদের অনুমান, সেই চুল ও মাংস আনোয়ারুলের হতে পারে। পুলিশ সেই ইতিমধ্যেই দেহাংশ ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছে। জানা গিয়েছে, এই তথ্য সঠিক কিনা তা জানতে ঢাকা থেকে কলকাতার এসেছেন আনোয়ারুলের মেয়ে ফিরদৌস ডরিন।
সোমবার ভাঙড়ে কসাই জিহাদ হাওলাদারের দেখানো জায়গায় তল্লাশি শুরু হয়েছে। নৌ সেনার বিশেষ নৌকা ও সেন্সর ব্যবহার করে খালের তলদেশে নিহত সাংসদের দেহাংশ খোঁজা হয়। সাতুলিয়া ও কৃষ্ণমাটি গ্রামে বাগজোলা খালে দিনভর চলে তল্লাশি। জানা গিয়েছে এদিন নতুন করে কোনও সূত্র পাননি তদন্তকারীরা।