রিলিজ ৩৬৫ ওয়েবডেস্ক: ভারতের বিখ্যাত লেখিকা অরুন্ধতী রায় (Arundhati Roy) সন্ত্রাসদমন আইনে (Unlawful Activities [Prevention] Act) মামলা করার অনুমতি দেওয়া হল। লেখিকা অরুন্ধতী রায় (Arundhati Roy) এর বিরুদ্ধে অত্যন্ত কড়া ইউএপিএ বা সন্ত্রাসদমন আইনে মামলা করার অনুমতি দিয়েছেন দিল্লির লেফটন্যান্ট গভর্ণর ভিকে সাক্সেনা। প্রকাশ্যে বিতর্কিত মন্তব্য করার অভিযোগ রয়েছে অরুন্ধতী রায়ের বিরুদ্ধে।
১৩ বছর আগে কাশ্মীর ইস্যুতে ‘উস্কানিমূলক’ বক্তব্য রাখার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। তার বিরুদ্ধে এবারে মামলা দায়ের করার অনুমতি দেওয়া হল বলে জানা গিয়েছে। নয়াদিল্লির মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশের পর অরুন্ধতী রায় এবং কাশ্মীর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন অধ্যাপক শেখ শওকত হোসেনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়। সেটিও ওই নির্দেশে যোগ করেছেন দিল্লির লেফটন্যান্ট গভর্ণর ভিকে সাক্সেনা।
এই বিষয়ে বুকার পুরস্কার জয়ী অরুন্ধতী রায় এবং শেখ শওকত হোসেনের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। আগের ওই ঘটনায় ভারতীয় দণ্ডবিধির 153 A, 153 B এবং 505 ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে। দিল্লি পুলিশ তাঁদের বিরুদ্ধে ইউএপিএ’র ১৩ নম্বর ধারাতেও অভিযুক্ত করার আবেদন করেছিল। ভারতীয় দণ্ডবিধির তিনটে ধারাতেই মামলা শুরুর অনুমতি আগেই দিয়েছিলেন দিল্লির লেফটন্যান্ট গভর্ণর ভিকে সাক্সেনা।
এবারে ইউএপিএ (UAPA) ধারাতেও অরুন্ধতী রায়ের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের অনুমতি দিলেন তিনি। কাশ্মীরের এক সামাজকর্মী সুশীল পণ্ডিতের করা অভিযোগের ভিত্তিতে এই এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়েছে। ২০১০ সালের ২৮ অক্টোবর এই এফআইআর হয়।
আরো পড়ুন: Sukanta Majumdar: কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েই কী কড়া হুঁশিয়ারি!
দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভিকে সাক্সেনা এবার অরুন্ধতী রায় এবং কাশ্মীর সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির আন্তর্জাতিক আইনের প্রাক্তন অধ্যাপক ডঃ শেখ শওকত হোসেনের বিরুদ্ধে মামলায় বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইনের 45 (1) ধারার অধীনে বিচারের অনুমোদন দিয়েছেন। শুক্রবার রাজ নিবাস থেকে সরকারি ভাবে বিষয়টি জানানো হয়েছে। দোষী সাব্যস্ত হলে এই মামলায় অরুন্ধতী রায়ের সাত বছরের কারাদণ্ড হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
We haven’t produce this article. Source of this article is another leading media.